বাদুর চোখে দেখে ঠিকই, তবে মানুষের মতো রঙিন দৃষ্টি তাদের নেই। অর্থাৎ তাদের দেখার ধরন আলাদা হলেও তা তাদের জন্য যথেষ্ট। তবে উড়ে যাবার সময় বা শিকারের সময় তারা ‘ইকো লোকেশন’ ব্যবহার করে। ইকো লোকেশন মানে হলো, চারদিকে শব্দোত্তর তরঙ্গ বা হাই ফ্রিকোয়েন্সির শব্দতরঙ্গ ছুড়ে দেওয়া এবং তার প্রতিফলন ফিরে এলে প্রতিফলিত তরঙ্গের প্যাটার্ন বিশ্লেষণ করে বুঝতে পারা, আশপাশে কী আছে।
বুঝতে হবে যে, মানুষ বা অন্য যেকোনো প্রাণী যখন তাকায়, তখন একটি নির্দিষ্ট দিকে ফোকাস দেয় বেশি। তাকানোর মাধ্যমে চারপাশের সবকিছু একসাথে দেখতে পাওয়া বা শনাক্ত করা সম্ভব নয়। তবে এটা ইকো লোকেশন এর মাধ্যমে সম্ভব। একারণেই বাদুর চলাচলের সময় অর্থাৎ ওড়ার সময় ইকো লোকেশন ব্যবহার করে। মানুষ যদি এটা পারতো, তবে তারাও এটা ব্যবহার করতো। ইকো লোকেশন করতে পারা মানেই অন্ধ হওয়া নয়। যেমন, আপনি বাম হাতে বেশ কিছু কাজ করতে পারেন, এর মানে এই না যে – ডানহাতে কিছু করতে পারেন না। বামহাতী ব্যাটসম্যানরাও সবাই সম্ভবত ডান হাতেই খায়। বাদুরই একমাত্র প্রাণী নয়, যারা ইকো লোকেশন ব্যবহার করে। এই দলে ডলফিনও আছে, তাই বলে তারা কি চোখে দেখতে পায় না?