সকল বলেরই ঘাত থাকে, যা বল ও বলের ক্রিয়াকালের গুণফল দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
অর্থাৎ বলের ঘাত = বল × বলের ক্রিয়াকাল
= F × t
= ma × t
= m (v – u)/t × t
= mv – mu
= শেষ ভরবেগ – আদি ভরবেগ
= ভরবেগের পরিবর্তন
তবে ঘাতবল হতে হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রচণ্ড মানের বল ক্রিয়া করতে হবে। অর্থাৎ অত্যন্ত অল্প সময়ে বিরাট মানের বল ক্রিয়া করলে তাকে ঘাতবল বলে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ‘অত্যল্প সময়কাল’ এবং ‘প্রচণ্ড মানের বল’ – এ দুটি টার্ম আপেক্ষিক। আমরা জানি, যে প্রাণী যত ক্ষুদ্র, তার সময়ের উপলদ্ধি তত ধীর।
ভবিষ্যতে যদি পিঁপড়ার মতো ক্ষুদ্রকায় প্রাণী মানুষের মতো ইন্টেলিজেন্ট হয়, তাহলে তারাও তো ফিজিক্স নামক বিষয়টি অধ্যয়ন করতে পারে, তাই না? সেক্ষেত্রে আমাদের কাছে যেটা অত্যল্প সময়, সেটা ঐরূপ প্রাণীর কাছে ক্ষুদ্র সময় নাও হতে পারে। আবার আমাদের কাছে যেটা অধিক মানের বল নয়, সেটাই তাদের কাছে প্রচণ্ড মানের বল হিসেবে পরিগণিত হতে পারে। তাই মানুষের কাছে যা ঘাতবল হিসেবে বিবেচিত হবে না, সেটা পিঁপড়ার মতো ক্ষুদ্র প্রাণীর কাছে সহজেই ঘাতবল হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। যাই হোক, মোদ্দা কথা এই যে, সকল বলেরই ঘাত থাকে, কিন্তু সকল বল ঘাতবল নয়। উল্লেখ্য যে, বলের ঘাত একটি ভেক্টর রাশি।